গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার পুনরায় চালু হয়েছে। তবে, এখন থেকে এটি 'সাফারি পার্ক গাজীপুর' নামে পরিচিত হবে। পর্যটন মৌসুমের কথা বিবেচনায় নিয়ে পার্কটি সীমিত পরিসরে পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কে ভয়াবহ গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ওই সময়ে দুর্বৃত্তরা পার্কের মূল ফটক ভেঙে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়, যার ফলে পার্কের প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এই হামলার পর পার্কটি বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের কাজ চলছিল।
তবে শুক্রবার থেকে এই সাফারি পার্কটি আবারও খোলা হয়েছে, তবে এখন নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সাময়িক সংস্কার কাজ শেষ হওয়ায় দর্শনার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) রফিকুল ইসলাম জানান, নতুন নাম ‘সাফারি পার্ক গাজীপুর’ রাখা হয়েছে এবং এটি পর্যটকদের জন্য বর্তমানে একটি সীমিত পরিসরে খোলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, "আমরা আশা করছি, এই পর্যটন মৌসুমে পার্কটি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে এবং দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।" তিনি জানান, যেহেতু পার্কটি এখনও পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়নি, তাই শুরুর দিকে কিছু জায়গায় সামান্য সংস্কার কাজ চলতে পারে, তবে মূল ইভেন্টগুলো চালু থাকবে।
এখন, গাজীপুর সাফারি পার্কের নতুন নাম ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলেও, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে পার্কটি আরও উন্নত করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। এই নতুন পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সাফারি পার্কটি আরও আধুনিক এবং দর্শনার্থীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ এবং উৎফুল্লতা রয়েছে, কারণ শ্রীপুরের এ অঞ্চলে সাফারি পার্কটি স্থানীয় পর্যটকদের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল। দীর্ঘদিন পর পার্কটি খুলে যাওয়ার ফলে এখানকার ব্যবসাও আবার শুরু হবে বলে আশা করছেন অনেকে।
পার্কের পুনরায় চালু হওয়া শুধু পর্যটন শিল্পের জন্য নয়, এটি স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে, সাম্প্রতিক সংস্কারের ফলে সাফারি পার্কটি আগের তুলনায় আরও বেশি জনপ্রিয় হবে এবং দর্শনার্থীদের নতুনভাবে আকর্ষণ করবে।